আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মহত্তম চরিত্রের সর্বোত্তম উপমা তিনি। তিনি সুমহান চরিত্রের অধিকারী। এই তো তাঁকে দেখে নির্বাক বৃক্ষরাজি সবাক হয়ে ওঠে, সালাম জানায় পরম শ্রদ্ধার আবেশে। তাঁর শুভ দর্শনে নির্জীব পাথরের বুকে কথা ফোটে, নুবুওয়াতের সাক্ষ্য দিয়ে নিজেকে ধন্য ভাবে। মক্কার লোকেরাই তো তাঁর বিশ্বস্ততা ও আমানতদারিতায় মুগ্ধ হয়ে আল আমীন বলে ডাকত।
তিনি এসেছিলেন চির সুন্দরের পথ দেখাতে, শির্কের অন্ধকার মুছে দিয়ে তাওহীদের দ্যুতিময় জীবনের সন্ধান দিতে, পৈশাচিকতার শেকল ভেঙে মানবতার অনাবিল শিক্ষায় জীবন গড়াতে, নরকের আবর্ত থেকে টেনে তুলে জান্নাতের সুখময় নিবাসের অভিযাত্রী করতে। হীনতার তলানিতে পড়ে থাকা নারী জাতিকে সম্মানের সুউচ্চ চূড়ায় উন্নীত করতে। মিথ্যা উপাস্য আর মানুষের দাসত্ব থেকে মানুষকে মুক্ত করে এক আল্লাহর ইবাদাত আর দাসত্ব শেখাতে।
কিন্তু আল্লাহর এই শ্রেষ্ঠ প্রেরিত পুরুষকে অনেক মানুষ চিনতে ভুল করে। ওরা সুন্দরের পথটাকে উপেক্ষা করে, শির্কের অন্ধকারটাকে আলো ভেবে ভুল করে, মানবতার ডাক ভুলে পৈশাচিকতায় ডুবে থাকে, জান্নাতের অভিযাত্রী না হয়ে নরকের পথেই থাকতে চায় অবিচল। শেষে বিশুদ্ধ মানুষটাকে ভুল বুঝে বিরোধের প্রকাশ ঘটায় হত্যার ষড়যন্ত্র করে।
হ্যাঁ, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যায় চক্রান্তের সূচনা হয় মক্কা থেকেই। এখানকার মানুষরা ছিল পৌত্তলিক। বহু দেব-দেবীতে বিশ্বাসী। বাপ-দাদার রেখে যাওয়া ভ্রান্তে ধর্মে ছিল ভয়ানক রকমের ভক্তি। নবীজি এসে এই পৌত্তলিকতা, বহু ঈশ্বরবাদ ও বাপ-দাদার রেখে যাওয়া বিশ্বাসে কুঠারাঘাত করেন। ফলে অহংকারী আর দাম্ভিকরা এই আঘাত সহ্য করতে পারেনি। মূর্খতার আঁধারে গড়ে উঠেছে যাদের জীবন, একত্ববাদের নির্মল আলো তাদের কাছে অশনি সংকেতের মতো চোখ ঝলসানো মনে হয়েছে।
ফলে কী হয়েছে? সত্যের মশালধারী এই বার্তা বাহকের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নিয়েছে। শত চেষ্টার পরেও যখন তাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি, তখন ওরা নবীজিকে হত্যার পাঁয়তারা করে। হত্যার চিন্তা সর্বপ্রথম আসে আবু জাহেলের চিন্তায়। সে এককভাবে চেষ্টা করেছে। এখানে ব্যর্থ হয়ে সংঘ তৈরি করেছে নবীজিকে হত্যার জন্য। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
lmtpox –
1tih4u
c8hdrt –
b8v5fg