- 40%

নবীজিকে হত্যাচেষ্টা, অতঃপর

৳ 175.00 ৳ 290.00


ছাড়: ৳ 115.00

প্রকাশনী

দ্বীন পাবলিকেশন

লেখক

সায়্যিদ ইউসুফ

অনুবাদক

হাসান শুয়াইব

কভার

পেপারব্যাক

১ম পাবলিশ

October, 2022

পৃষ্ঠা সংখ্যা

292

নবীজিকে যারা হত্যার জন্য উদ্যত হয়েছিল, মোটাদাগে এই লোকেরা দু’ভাগে বিভক্ত। একটি পক্ষ হিদায়েতের সুযোগ পায়নি। তাদের শেষ পরিণতি হয়েছে করুণ। আল্লাহ তাদেরকে লাঞ্ছিত করেছেন। আখিরাতে তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।

আরেকটি পক্ষ হিদায়েত পেয়েছে। নবীজিকে হত্যা করতে এসে তাঁর মু’জিযা দেখে খুলেছে চোখ, দুয়ার খুলেছে চেতনার। স্পষ্ট হয়েছে সত্য-মিথ্যার বিভাজন রেখা। ফলে ইসলাম গ্রহণ করে পথিক হয়েছে চির সৌভাগ্যের।

নবীজিকে হত্যা চেষ্টার সবগুলো প্রেক্ষাপটে প্রধাণত একটি বিষয় লক্ষণীয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সরাসরি সাহায্যে তাঁর নবুওয়াতের প্রমাণ দীপ্যমান হয়েছে, প্রকাশ পেয়েছে তার মু’জিযা। বিশাল এক অদৃশ্য উটের কারণে আবু জাহেল বাধাগ্রস্ত হওয়া, নবীজির দুআর পর কুরআনের আবেদনে পালটে যাওয়া উমর, সুরাকা’র ঘোড়া ভূমিধসের শিকার হওয়া, বিষ নবীজির বেলায় নিষ্কৃয় হওয়া, গাওরাসের হাত থেকে তরবারি আপনা থেকেই পড়ে যাওয়া, আবু উসমানের সামনে তৈরি হওয়া আগুনের দেয়াল—এগুলো অনিবার্যভাবে প্রমাণ করে, মুহাম্মাদকে তাঁর রব সত্যিই বার্তাবাহক হিসেবে প্রেরণ করেছেন। আর তাই নির্ধারিত সময় পর্যন্ত পৃথিবীর কেউ তাঁর অনিষ্ট করতে পারবে না। আল্লাহ সর্বক্ষণ তাঁকে আপন সুরক্ষা বলয়ে নিরাপদ রাখছেন।

বিশ্বাসীদের পাশাপাশি অবিশ্বাসীদের জন্যও বিবৃত এই গল্পগুলোতে আছে সরলতার পর্যাপ্ত উপাদান। নিরপেক্ষ বোধ নিয়ে তারা একটু ভাবলেই বুঝতে পারবে, ‘যে গোপন পরিকল্পনার কথা পৃথিবীর তৃতীয় কোনো মানুষ জানে না, সেটা মুহাম্মাদ কীভাবে জানতে পারছেন? যেখানে কোনো মানুষ নেই, সেখানে কে তাঁকে সাহায্য করছেন?’ হ্যাঁ, এটাই সত্য; যে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাঁকে তাঁর বার্তাবাহক হিসেবে প্রেরণ করেছেন, নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তিনিই তাঁকে সবকিছু জানিয়ে দেন। তিনিই তাঁর পেয়ারা নবীকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেন। এই বোধ যাদের মনে জাগ্রত হয়; এমন চিন্তার উন্মেষ যাদের চেতনায় ভোরের আলো ছড়ায়, তারা সত্য উপলব্ধি করে। তারা সত্যকে গ্রহণ করে চলতে শুরু করে সরল পথে। সত্যের নির্মল জোছনায় তারা সমগ্রভাবে অবগাহিত হয়। আছে কি কেউ এ সত্যকে পরম সৌভাগ্যের আবেশে বুক পেতে গ্রহণ করবার মতো?

আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মহত্তম চরিত্রের সর্বোত্তম উপমা তিনি। তিনি সুমহান চরিত্রের অধিকারী। এই তো তাঁকে দেখে নির্বাক বৃক্ষরাজি সবাক হয়ে ওঠে, সালাম জানায় পরম শ্রদ্ধার আবেশে। তাঁর শুভ দর্শনে নির্জীব পাথরের বুকে কথা ফোটে, নুবুওয়াতের সাক্ষ্য দিয়ে নিজেকে ধন্য ভাবে। মক্কার লোকেরাই তো তাঁর বিশ্বস্ততা ও আমানতদারিতায় মুগ্ধ হয়ে আল আমীন বলে ডাকত।

তিনি এসেছিলেন চির সুন্দরের পথ দেখাতে, শির্কের অন্ধকার মুছে দিয়ে তাওহীদের দ্যুতিময় জীবনের সন্ধান দিতে, পৈশাচিকতার শেকল ভেঙে মানবতার অনাবিল শিক্ষায় জীবন গড়াতে, নরকের আবর্ত থেকে টেনে তুলে জান্নাতের সুখময় নিবাসের অভিযাত্রী করতে। হীনতার তলানিতে পড়ে থাকা নারী জাতিকে সম্মানের সুউচ্চ চূড়ায় উন্নীত করতে। মিথ্যা উপাস্য আর মানুষের দাসত্ব থেকে মানুষকে মুক্ত করে এক আল্লাহর ইবাদাত আর দাসত্ব শেখাতে।

কিন্তু আল্লাহর এই শ্রেষ্ঠ প্রেরিত পুরুষকে অনেক মানুষ চিনতে ভুল করে। ওরা সুন্দরের পথটাকে উপেক্ষা করে, শির্কের অন্ধকারটাকে আলো ভেবে ভুল করে, মানবতার ডাক ভুলে পৈশাচিকতায় ডুবে থাকে, জান্নাতের অভিযাত্রী না হয়ে নরকের পথেই থাকতে চায় অবিচল। শেষে বিশুদ্ধ মানুষটাকে ভুল বুঝে বিরোধের প্রকাশ ঘটায় হত্যার ষড়যন্ত্র করে।

হ্যাঁ, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যায় চক্রান্তের সূচনা হয় মক্কা থেকেই। এখানকার মানুষরা ছিল পৌত্তলিক। বহু দেব-দেবীতে বিশ্বাসী। বাপ-দাদার রেখে যাওয়া ভ্রান্তে ধর্মে ছিল ভয়ানক রকমের ভক্তি। নবীজি এসে এই পৌত্তলিকতা, বহু ঈশ্বরবাদ ও বাপ-দাদার রেখে যাওয়া বিশ্বাসে কুঠারাঘাত করেন। ফলে অহংকারী আর দাম্ভিকরা এই আঘাত সহ্য করতে পারেনি। মূর্খতার আঁধারে গড়ে উঠেছে যাদের জীবন, একত্ববাদের নির্মল আলো তাদের কাছে অশনি সংকেতের মতো চোখ ঝলসানো মনে হয়েছে।

ফলে কী হয়েছে? সত্যের মশালধারী এই বার্তা বাহকের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নিয়েছে। শত চেষ্টার পরেও যখন তাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি, তখন ওরা নবীজিকে হত্যার পাঁয়তারা করে। হত্যার চিন্তা সর্বপ্রথম আসে আবু জাহেলের চিন্তায়। সে এককভাবে চেষ্টা করেছে। এখানে ব্যর্থ হয়ে সংঘ তৈরি করেছে নবীজিকে হত্যার জন্য। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “নবীজিকে হত্যাচেষ্টা, অতঃপর”
Review now to get coupon!

Your email address will not be published. Required fields are marked *

শিপিং ডিটেইলস

  • সারা দেশে ক্যাশ অন ডেলিভারি অর্থাৎ দেশের যেকোনো স্থানে বই হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধের সুবিধা।
  • ঢাকার ভেতরে ২৪ ঘণ্টায় বই হাতে পাবার নিশ্চয়তা। (ইনশাআল্লাহ)
  • ঢাকার বাহিরে ৪৮ ঘণ্টায় বই হাতে পাবার নিশ্চয়তা। (ইনশাআল্লাহ)

 

শিপিং এরিয়া শিপিং কস্ট ডেলিভারি টাইম
ঢাকার ভেতরে ৬০ টাকা ২০-২৪ ঘণ্টা
ঢাকার বাহিরে ৬০ টাকা ৪০-৪৮ ঘণ্টা